তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ফের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবিলম্বে হরতালের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সিপিবি-বাসদ’র সাত দফা দাবি সমূহের মধ্য রয়েছে- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত
সম্পন্ন করে ও রায় কার্যকর করা, জামায়াত সহ ধর্মভিত্তিক
রাজনৈতিক দল ও ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, হলমার্ক সহ সকল অর্থ কেলেঙ্কারী ও দুর্নীতির বিচার সহ টাকা উদ্ধার, আইএমএফ এর পরামর্শে জ্বালাণী তেল ও গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির
চক্রান্ত বন্ধ করা, গার্মেন্টস শ্রমিক
হত্যাকারী গ্রেফতার সহ বিচার, প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদের
ক্ষেত্রে জনগণের শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করা সহ জোট মহাজোটের বিপরীতে বাম গণতান্ত্রিক
বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা। আর এসব দাবিতে হরতালের
ডাক দিচ্ছে দুই দল।
তোপখানা রোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সংবাদ সম্মেলনে বলা
হয়, বর্তমান সরকারের আমলে ৬ বার বিদ্যুতের দাম এবং চারবার জ্বালাণীর
দাম বাড়ানো হয়েছে। যা নজিরবিহীন। বিদ্যুত ও জ্বালাণীর
মূল্য বৃদ্ধির ফলে চলতি বছর জনগণের পকেট থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে প্রায় সাত হাজার কোটি
টাকা। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার তরফ থেকে সরকারের অব্যাহত জ্বালাণী
মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং আবারো নতুন করে দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে হরতাল কর্মসূচী
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিসমূহের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে
হরতালের তারিখ অবিলম্বে ঘোষণার কথা জানানো হয়।
মোর্চার সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি লিখিত বক্তব্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের
তান্ডব হানাহানি জনজীবনে নতুন উপদ্রব আকারে হাজির হয়েছে। বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা এবং বিচারের প্রশ্নকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে পরবর্তি নির্বাচনী
সমীকরণে ব্যবহারের সরকারী ততপরতার কারণেই জামায়াত এই তান্ডব চালানোর শক্তি পাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে জামায়াতের হরতাল আহবানের ধৃষ্টতা এই সত্যই প্রমাণ করে যে, জোট-মহাজোটের উস্কানী ও রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা এতদূূর আসার
সহাস পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধী ও গণশত্রুদের বিচার ও ধর্মের রাজনৈতিক
ব্যবহার বন্ধ,
রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা করার দাবিতে দেশব্যাপী
সমাবেশ ও বিক্ষোভ সহ বিজয় দিবসের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন-আবদুস সাত্তার, মোশরেফা মিশু,
মোশারফ হোসেন নান্নু, হামিদুল হক প্রমুখ।